দ্য সিলেট প্রতিবেদন:

সিলেটে নগরীতে গেজেটভূক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জসিমকে বরখাস্ত (সাময়িক) করে সিলেট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেইসাথে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আজকের (শনিবারের) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সাথে সাথেই ওই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আজকের মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট এর মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সিলেট নগরীর লামাবাজার এলাকায় ফজরের নামাজের পর চায়ের দোকান খোলার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। এ ঘটনায় অভিযোগ লামাবাজার পুলিশ ফাড়িঁর এসআই জসিমের বিরুদ্ধে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আহত ওই ব্যক্তি আন্দোলনের সময় আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। প্রতিদিনের মতো আজ ফজরের পর দোকান খুললে এসআই জসিম এসে ‘এতো সকালে দোকান খোলা কেন?’ জানতে চেয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। এসময় জোর করে ভ্যানে তুলতে গেলে আহত ব্যক্তি জানান, ‘আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘসময় বসে থাকতে পারি না, তাই এই দোকান দিয়েছি। আমাকে জেলে দিলে পরিবার না খেয়ে মরবে। ‘জবাবে এসআই জসিম বলেন, ‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’- এই বলে কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান। বর্তমানে আহত ব্যক্তি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।