দ্য সিলেট

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২
বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২

সিলেটে জব্দকৃত পাথরসহ ৯ নৌকা আটক

দ্য সিলেট ডেস্ক |

লোভাছড়া কোয়ারির জব্দকৃত পাথরবোঝাই ৯টি নৌকা আটক করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সুরমা নদী থেকে নৌকাগুলো আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর পাসপোর্ট অফিসের কাছে নৌকাগুলো আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে পাথরবোঝাই ৯টি নৌকা পুলিশের কাছে তুলে দেয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিপুল পরিমাণ এই পাথর লোভাছড়া থেকে লুট করে পাচার করা হচ্ছিল।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে কানাইঘাটের লোভাছড়া থেকে সরকারি অভিযানে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ পাথর ৯টি নৌকায় করে সুরমা নদী দিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। নৌকাগুলো গোটাটিকর এলাকায় আসার পর স্থানীয় লোকজন আটক করেন। পরে মোগলাবাজার থানা পুলিশ গিয়ে পাথরসহ নৌকাগুলো জব্দ করে।

দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকরের সামি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী নজরুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালে লোভাছড়া কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে মজুদ করা প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর জব্দ করে প্রশাসন। পাঁচ বছর পর খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) ৫৬ লাখ ঘনফুট পাথর গোপন করে ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। এ ঘটনায় তিনি উচ্চ আদালতে তিনি মামলা করেছে। মামলটি বিচারাধীন রয়েছে। তবুও আদালতকে পাশ কাটিয়ে বিএমডি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে জব্দকৃত ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর বিক্রি করে দেয়।

নজরুল ইসলামের অভিযোগ, বিএমডি ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর নিলাম করলেও মূলত বিক্রি করেছে ১ কোটি ঘনফুট পাথর। গোপন যোগসাজশে বিএমডি ৫৬ লাখ ঘনফুট সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়েছে। এর নেপথ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফাক আহমদ পলাশ ও তমিজ উদ্দিন। এখন তারা কৌশলে জব্দকৃত সেই ১ কোটি ঘনফুট পাথর পাচারের চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার রাতে ৯টি নৌকাবোঝাই পাথর আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি ফয়সাল আহমদ বলেন, গোটাটিকরের স্থানীয় লোকজন পাথরবোঝাই ৯টি নৌকা আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন। যারা পাথরবোঝাই নৌকা আটক করেছেন তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ