দ্য সিলেট ডেস্ক :
সিলেটে থেমেছে বৃষ্টি। কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। বন্যাকবলিত এলাকায়ও উন্নতি হচ্ছে, নামতে শুরু করেছে বানের পানি। এতে বানভাসি মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নামায় অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এছাড়াও সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ২২ এবং কুশিয়ারা শেওলা পয়েন্টে পানি ১৮ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে ব্যতিক্রম কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট। এই পয়েন্টে আরও ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
এদিকে সিলেটের বন্যাকবলিত জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এসব উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ থেমেছে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিার পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়নি। একই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ কিছুটা কমেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ প্রতিবেনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানির স্তর গতকালের (বুধবার) তুলনায় বেশ কমেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্য ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ০.৬০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ১১৩ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ দ্য সিলেটকে বলেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থেমেছে। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারার নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টিপাতের আর তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
