দ্য সিলেট প্রতিবেদন ||

সিলেটে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ও ছাগল নিয়ে আসা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে হাটে তোলা এসব গরু-ছাগল দেখার উদ্দেশ্যে হাটে আসছেন অনেকে। কেউ কেউ আসছেন দাম যাচাই করতে।
আগামী ৭ জুন সারা দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। পছন্দমতো পশু কেনার জন্য হাতে আছে আরও ৯ দিন।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, এবার সিলেটের হাটগুলোতে পশু একটু দেরিতে আসছে। অন্য বছরে হাটগুলোতে ৬-৭ দিন আগে পশুতে প্রায় পরিপূর্ণ থাকলেও, এবার এখনো হাটের বেশিরভাগ বাঁশগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। যদিও বলা হচ্ছে সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
নগরের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট কাজিরবাজারে ঘুরতে আসা ফরহাদ মিয়া বলেন, আগে দেখতাম অন্তত ১০ দিন আগে হাটে গরু আসে; কিন্তু এবার কিছুটা দেরি হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে এবার ৭৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৬২টি, মহানগর এলাকায় ১২টি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার সিসিকের পক্ষ থেকে নগরীর ১২টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
হাটগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক ট্রাক টার্মিনাল, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন এস ফল্ট মাঠ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ পার্শ্ববর্তী এলাকা, মাছিমপুর কয়েদীর মাঠ, ঝালোপাড়া, ভার্থখলা, শাহপরান গেইট এলাকা, টিলাগড় পয়েন্ট, মেজরটিলা বাজার, তেমুখী, আখালীয়া নবাবী জামে মসজিদ মাঠ সংলগ্ন এলাকা, পাঠানটুলা পয়েন্ট এলাকা ও মিরাপাড়া আব্দুল লতিফ স্কুল সংলগ্ন মাঠ। ইতোমধ্যে সিসিকের পক্ষ থেকে এসব স্থানে হাট চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন পেলেই সিসিকের পক্ষ থেকে ইজারা কার্যক্রম শেষ করা হবে।
এদিকে সিলেটে স্থানীয়ভাবে এবার কোরবানীর ঈদে গরুর সংকট রয়েছে বলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।তবে গুরুর সংকট থাকলেও ভেড়া, মহিষ ও ছাগলের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে।
সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এবার সিলেটে কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা ১ লাখ ২ হাজার ২৭৮টি। এর মধ্যে ৮০ হাজার গরু, ৩ হাজার ৪০২টি মহিষ, ৪ হাজার ৪৫৯টি ছাগল ও ৭ হাজার ১৫টি ভেড়া রয়েছে।
সিলেট জেলায় এবছর প্রায় ১২ হাজার ৬৫৭টি গরুর সংকট রয়েছে বলে জনিয়েছে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
তথ্যমতে, এবছর সিলেট জেলায় ৬৭ হাজার ৩৪৩টি গরু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যা এবছর চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৬৫৭টি কম। তাছাড়া কোরবানীযোগ্য গরুর মধ্যে ৪৩ হাজার ৮৮২টি ষাঁড়, ১৫ হাজার ২৭৭টি বলদ ও ৮ হাজার ১৮৪টি গাভী কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিয়া জানান, এ বছর স্থানীয়ভাবে কোরবানীর পশুর কিছু ঘাটতি রয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এলে সংকট কেটে যাবে।
তিনি বলেন, এবছর গরুর কিছুটা ঘাটতি থাকলেও মহিষ, ছাগল ও ভেড়া চাহিদা মাফিক রয়েছে।