দ্য সিলেট প্রতিবেদন:

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে পুলিশ-সেনাবাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪ জন নিহত এবং পুলিশ-সাংবাদিকসহ ১২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জ্বীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেশ কয়েকজন হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এরমধ্যে ৪ জন মৃত ও ১২ জন আহত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা ছিল দলটির। এই কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে সকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। হামলা করা হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি বহরেও।
দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে এনসিপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে সরে যান।
এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে ওই সমাবেশ স্থলেই পুলিশি নিরপত্তায় সমাবেশ করে এনসিপি। সেখানে নাহিদ, আলম ও আখতার সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষ হওয়ার পর এনসিপির নেতারা যখন গাড়ি বহর নিয়ে মাদারীপুর রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন আবার ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। এনসিপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা সমাবেশ মঞ্চ এবং চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি। গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারেও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। এরপর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ একযোগে অভিযান শুরু করে।