দ্য সিলেট প্রতিবেদন |

ছয় দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস মালিক সমিতি এবং সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
সকালে নগরের কদমতলি বাস টার্মিনালে গেলে দেখা গেছে, সিলেট থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়ক গুলোতেও চলাচল করছে না গণপরিবহন। সড়কে অন্যদিনের তুলনায় যানবাহন চলাচলও কিছুটা কম রয়েছে। তবে নগরের অভ্যন্তরে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মালিক-শ্রমিকদের ৬ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ আইন ২-১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল।সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহণের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাংচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহি গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
পরিবহন শ্রমিকদের নেতা আলী আকবর রাজন দ্য সিলেটকে জানান, সমস্য সমাধানের জন্য আমরা ইতোমধ্যে তিন দফা স্মারকলিপি দিয়েছি। জেলা প্রশাসক চাইলেই এই সমস্যা নিরসণ করতে পারেন। কিন্তু তার স্বদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। যে কারণে আমরা জেলা প্রশাসকের পদত্যাগ দাবি করছি।
তিনি বলেন, অতীতে যে কোনো সমস্যা হলেই সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বসে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করতেন। কিন্তু বর্তমান জেলা প্রশাসক তা করছেন না। দাবি মানা না হলে আগামীকাল থেকে সিলেটে বিভাগে কর্মবিরতি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই শ্রমিক নেতা।