দ্য সিলেট প্রতিবেদন ||

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে ‘সাবধানে কথাবার্তা’ বলেতে বললেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক তুমি কোথাকার কে? তোমার মতো কয়েক জেলা প্রশাসক তো আমার আন্ডারেই চাকরি করেছে। কথাবার্তা সাবধান করে বলবা। জনপ্রতিনিধি কারা আছেন, কারা নাই, এটা তোমার নির্ধারণ করার কথা না। এটা ঠিক করবে জনগন। মানুষের মানসম্মান নিয়ে খেলবেন না বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিন এসব কথা বলেন।
এসময় সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেটের বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন তারা। আগামী শুক্রবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শনিবার থেকে সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পাথর খাতের সাথে সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বুধবার দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, সরকারকে আমরা সার্বিক সহযোগীতা করছি। কিন্তু সিলেটের জেলা প্রশাসকের একতরফা কার্যকলাপে আমার সন্দেহ হচ্ছে, তিনি সাবোটাজ করছেন কি না। কারণ, কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই তিনি সিলেটবাসীর স্বার্থ-বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
সাবেক এ মেয়র বলেন, জেলা প্রশাসক সিলেটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে একটা গোষ্ঠীর ফায়দা হাসিলের পায়তারা করছেন। এই জেলা প্রশাসকের কর্মকান্ডের কারনে সরকারের সাথে আমাদের ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক-মালিকদের দাবিগুলো একেবারেই ন্যায্য ও যৌক্তিক। সরকার যদি দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে সিলেটের অর্থনীতি থমকে যাবে। আমরা পরিবেশের পক্ষে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদেরও ক্ষতি চাই না। তাই পরিবেশসম্মতভাবে পাথর উত্তোলন শুরুর অনুমতি দেওয়া হোক।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।