দ্য সিলেট ডেস্ক |
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর রোববার দুপুরে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২৮ জুন) ভোররাতে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ওই গ্রামের এজাহারভুক্ত আসামি নজর উদ্দিন (৪০) কে গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে “ডাকাত এসেছে” বলে গুজব ছড়ানো হয়।
এরপর প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই হামলায় নবীগঞ্জ থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। দুর্বৃত্তরা পুলিশের একটি ভ্যানগাড়ি এবং দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে।
এই ঘটনার পর রোববার (২৯ জুন) দুপুরে জনতার বাজার এলাকা ও আশপাশে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ চিরুনি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আটকরা হলেন, দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩১), পিরোজপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে রোজেল মিয়ান (২৫), দেওপাড়া গ্রামের সালেক মিয়ার ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২), রামলোহ গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে সোহেল আহমেদ (২৩),পানিউমদা গ্রামের মৃত তাজুল মিয়ার ছেলে আল আমিন (৬৬), শতক গ্রামের মৃত বশির মিয়ার ছেলে মো: সাদেক মিয়া (৪২), দেওপাড়া গ্রামের মৃত প্রদীপ দত্তের ছেলে পংকজ দত্ত (৪৩), রামলোহ গ্রামের মোহাম্মদ জুবেদ মিয়ার ছেলে আবির আহমেদ জয় (১৯)।
বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, আটকদের নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, আটকদের যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার পশুর হাট সরানোকে কেন্দ্র করে ইউএনও রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বাধা দেওয়ায় একটি মামলায় ৩৪ জনকে আসামি করা হয়। নজর উদ্দিন সেই মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন।
