জেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ |

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ‘মব’ করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের কাছ থেকে আসামি নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। হামালায় ৩ পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোররাতে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় নবীগঞ্জ থানার কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭), মোজাম্মেল হক (২৫) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫) আহত হয়েছেন। তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৩১ মে নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাট এলাকায় অভিযান চালান। একপর্যায়ে হাট কমিটির সদস্য ও অন্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাঁদের কাজে বাধা দেন। তাঁরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদারকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেটরা নিরাপদে স্থানে চলে যান। এ ঘটনায় পরদিন ১ জুন পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল শনিবার ভোররাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের নজর উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করতে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ সময় অন্য আসামিরা গ্রামের মসজিদে ‘ডাকাত এসেছে’ বলে মাইকিং করেন। এতে গ্রামের দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং পুলিশের কাছ থেকে নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় পুলিশের একটি ভ্যান ও দুটি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও ১টি পুলিশ ভ্যান ও ২টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় মামলা করা হবে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’