দ্য সিলেট প্রতিবেদন |
সিলেট নগরীর মেজরটিলায় দুই মাসের শিশু ইনায়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মেয়েকে গলা কেটে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তার বাবা আতিকুর রহমান (৪৫)।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আতিকুর রহমানের বরাত দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আতিকুরের জবানবন্দিসহ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে শিশুর বাবা তাকে বাথরুমে নিয়ে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরবর্তীতে নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুর রহমান জানিয়েছেন মাথাব্যথার কারণে তার মাথায় হঠাৎ কি যেন হয়েছিল বুঝতে পারেননি।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহঃ) থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হবে।
তিনি জানান, আতিকুর রহমান এখনও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে সিলেট নগরীর মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকায় শিশু ইনায়া রহমানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে থানাপুলিশ। এসময় পাশে থাকা বাবাকেও অর্ধেক গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাবা আতিকুর রহমানের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
স্থানীয়রা জানান, পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমান পরিবার নিয়ে ইসলামপুর এলাকার ভাড়া থাকেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে খাবার খাওয়ার পর পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে হঠাৎ করে বিকেলের দিকে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দেখতে পান আতিকুরের ২ মাসের মেয়ে ইনায়া রহমানের গলাকাটা এবং পাশেই বাবা আতিকুর রহমানের গলা অর্ধেক কাটা রয়েছে।
শিশুরটির মা ঝুমা বেগমের অভিযোগ, দুপুরের খাওয়া শেষে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার স্বামী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর তার নিজের গলা কাটছে। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হতাহতদের উদ্ধার করে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন, আতিকুর রহমানের গলার আঘাত বেশ গাঢ়। তার শ্বাসনালি অনেকটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।
