দ্য সিলেট প্রতিবেদন:

সিলেটের জৈন্তাপুরে বন্ধুদের সাথে নিয়ে তালকা দেওয়া স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে তারা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজামান এ তথ্য খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার কৃষকের ছদ্মবেশে স্থানীয় দরবস্ত বাজার থেকে থানাপুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলো- জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ফান্দু গ্রামের মৃত আবদুল কালামের ছেলে আবদুল মুমিন (৩০) ও একই ইউনিয়নের করগ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে বদরুল ইসলাম (৩০)। অপর অভিযুক্ত পলাতক।
জানা গেছে, উপজেলার ফান্দু গ্রামের মৃত আব্দুল কালামের ছেলে মুমিনের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় ওই নারীর। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে তাকে তালাক দেন মুমিন। শনিবার রাতে জরুরি কথা আছে বলে ওই নারীকে ডেকে নেন সাবেক স্বামী মুমিন। পরে একটি নির্জন হাওড়ে নিয়ে তিনি ও তার দুই বন্ধু মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, রোববার ভোরে এক নারী (৩১) থানায় এসে অভিযোগ করেন তার সাবেক স্বামী শনিবার রাতে তাকে জরুরি কথা আছে বলে ডেকে একটি নির্জন হাওড়ে নিয়ে যায়। পরে তিনি (স্বামী) ও তার দুই বন্ধু মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওসি জানান, অভিযোগ পেয়েই ছদ্মবেশে অভিযানে নামে পুলিশ। প্রথমে দরবস্ত এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত মুমিনকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বন্ধু বদরুলকে আটক করা হয়। অপর অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে।