দ্য সিলেট প্রতিবেদন:

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের নির্দেশনার একদিন পর সিলেটের দুই উপজেলায় যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। এসময় ৩৫টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের মিটার।
সোমবার (১৬ জুন) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকায় পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন করে চালানো ক্রাশার মিলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। অভিযানে ৩০টি অবৈধ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এসময় ২৬টি বিদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা দেবনাথের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ধোপাগুলসহ আশপাশের এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে এসব ক্রাশার মিল চলছিল। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় পরিবেশ ও কৃষিজমি। পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসাবে এই অভিযান।
এদিকে জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় আরও ৫টি ক্রাশার মিলের অভিযান চালানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জৈন্তাপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী এ অভিযান চালান। অভিযান চলাকালে পাঁচটি স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি সরঞ্জামা জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, অব্যাহতভাবে পরিবেশের ক্ষতি ও অননুমোদিত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
গত শনিবার সিলেটের জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে জাফলং ও এর আশেপাশের এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। এখান থেকে ক্রাশার মেশিনগুলো সরাতে হবে। এসব মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
পরে উপস্থিত সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবৈধ ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা নির্দেশনার একদিন পর অভিযান পরিচালনা করল প্রশাসন।