দ্য সিলেট ডেস্ক |
ইসরাইলে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আর বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমে আগুন জ্বলছে। ভবন ও স্থাপনাগুলো থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ১ ঘণ্টায় তারা ১০টি ইসরাইলি বিমান ধংস করেছে।
ইরানি হামলায় ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে শুধু উত্তর ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরাইলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।
এদিকে, ইরানের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০০ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদোম।
রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাট ইয়ামে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এখনো প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, আর মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।
এদিকে ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাত ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে’—এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা। সিএনএনকে দেওয়া এক মন্তব্যে তারা জানান, এই অভিযানে হোয়াইট হাউসের নীরব সম্মতি রয়েছে, এবং এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই দীর্ঘমেয়াদি সময়সীমা নিয়ে একমত’।
তবে সংঘাত কতটা দীর্ঘ হবে, তা নির্ভর করছে ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপর।’
