ওসমানীনগর প্রতিনিধি:

সিলেটের ওসমানীনগরে উপজেলা যুবদল নেতা আহবাব হোসেন ওরফে আহবাবুল (৪০) এর নেতৃত্বে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহীনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ওই বাড়ির মালিক ডলি বেগম বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৪০/৪৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কোর্টে চালান করা হয়।
জানা গেছে, খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহবাবুলের পিতা চেরাগ আলীসহ কয়েকজনের একটি জোয়া খেলার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বৃহস্পতিবার ৯১২ জুন) বিকাল ৩টার দিকে আহবাবুল একই গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী গোলাম রব্বানী সোহেল ভিডিওটি ভাইরাল করছেন বলে খাদিমপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তার বাড়িতে অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবশে করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা প্রায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতি হয়। হামলা চলাকালে ডলি বেগম ৯৯৯ এ কল করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা ফের মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লোকজনকে জড়ো করে পুলিশের উপর চড়াও হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও ওসমানীনগর সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা আহবাব হোসেন বলেন, আমার নেতৃত্বে কোনোও হামলা হয়নি। গ্রামবাসির নেতৃত্বে গ্রামের দু’টি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা হয়েছে। আমিও গ্রামবাসির সাথে ছিলাম। আমার বাবা জুয়া খেলেন নি, এটা একটি কল খেলা ছিল।
যুক্তরাজ্য প্রবাসি গোলাম রব্বানী সোহেল বলেন, আহবাবুলের পিতা চেরাগ আলীর জুয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় যুবদল নেতা আহবাব হোসেন আহবাবুলের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওসমানীনগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি ফজল আহমদ জনি বলেন, প্রবাসির বাড়ি ভাংচুরের সাথে বিএনপি, যুবদল জড়িত নয়। এটা আহবাবুল এর ব্যক্তিগত কাজ। আমাদের দলে কোন চাঁদাবাজ দখলদারের স্থান নেই।
ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষা ও আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।