দ্য সিলেট

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২
বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২

এপ্রিল নয়, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই!

দ্য সিলেট ডেস্ক |

ছবি: সংগৃহীত।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের একটি হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলবে। ঐতিহাসিক ওই বৈঠক ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। সবার চোখ এখন লন্ডনে। বৈঠকের এজেন্ডা নিয়ে জনমনে আরও বেশি চাঞ্চল্য ও উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের টাইম ফ্রেম ঘোষণার আগ থেকেই বিএনপি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। ফলে এই সময়সীমায় খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বিএনপি।

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিএনপি-ইউনূসের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক এই বৈঠক হতে যাচ্ছে শুক্রবার।

দুই পক্ষের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার প্রধান বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনা। এজন্য সরকার এপ্রিল থেকে সরে এলে, বিএনপিও ডিসেম্বর থেকে সরে আসবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করাই আলোচনা-সমঝোতার প্রধান বিষয় হয়ে দেখা দিতে পারে।

এছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, বিচার, জুলাই সনদ সহ নানা ইস্যু একে একে আলোচনায় উঠে আসবে। এমনকি নির্বাচিত পরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় সংসদে অন্তর্বর্তী সরকারের সব কর্মকাণ্ড অনুমোদন দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত অনেক কিছু আলোচনায় আসবে বলে বিশ্লেষকদের অনেকে অভিমত দিয়েছেন।

তারা মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক এ ঐতিহাসিক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে চলমান রাজনীতিসহ অনেক কিছু বিপদগামী হতে পারে। তবে কেউ কেউ এমনও বলেছেন, দেশের সার্বিক স্বার্থে এ বৈঠকের সার্বিক আলোচনা, মতবিরোধ ও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা ঠিক হবে না। বরং সেটি পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হতে পারে। কিন্তু আগে প্রকাশ করা হলে নানামুখী ষড়যন্ত্র বিস্তার লাভ করবে এবং দেশ ও জনস্বার্থের অনেক ভালো উদ্যোগও ভেস্তে যেতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। যেহেতু আমরা আলোচনায় যাচ্ছি, এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সে পর্যন্ত আমাদের চুপ থাকতে হবে।’

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ