
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানটির এক যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তি বিমানের ১১এ আসনের যাত্রী ছিলেন। তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই যাত্রীর নাম বিশ্বকুমার রমেশ। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিশ্বাস কুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, উড়োযানটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই বিকট শব্দ হয়, এরপরই বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল। বিশ্বাস কুমার বুকে, চোখে ও পায়ে সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল। বিশ্বাস কুমার বুকে, চোখে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
বিশ্বাস কুমার বলেন, ‘যখন উঠে দাঁড়ালাম, চারপাশে শুধু লাশ পড়ে ছিল। আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি; উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিই। আমার চারপাশে বিমানটির ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে এবং হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওই বিমান যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে রাজ্য-চালিত বি.জে. মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের খাবার কক্ষের ওপর বিধ্বস্ত হয়, এতে বহু মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটির বিভিন্ন অংশ ভবনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিমানের লেজ ভবনের ছাদে আটকে রয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিল, তার মধ্যে বিমানে ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১১ শিশু এবং ২ নবজাতক ছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার মতে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, উড়োযানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।