দ্য সিলেট ডেস্ক |

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তার এই সফর ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি শিবিরে ডক্টর ইউনূসের এই সফর ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
সূত্র বলছে, আগামী ১৩ জুন লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সূত্রের খবর দুই নেতার মধ্যে ২ ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ সমসাময়িক বিষয়, বিচার, সংস্কার এবং সর্বোপরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপযোগী সময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ধরণা করা হচ্ছে এরপরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চুড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক হবে। যদিও বিএনপি তফর থেকে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ডিসেম্বর না হলেও ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। কোনোভাবেই ফেব্রুয়ারী পার করতে চায়না দলটি।
এদিকে ইউনূস-তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন এই বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।
বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন,আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।