দ্য সিলেট প্রতিবেদন :

পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সিলেটেসহ সারা দেশে পশু কুরবানি দেওয়া শুরু করেছেন সামর্থবান মুসল্লিরা। ত্যাগের মহিমা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে প্রতিবছরই ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি দিয়ে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সিলেট নগরীতে পশু কোরবানি দিতে দেখা যায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের। নিয়মঅনুযায়ী কুরবানি করা যাবে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী গরু, খাসি, ভেড়া, কুরবানি চলছে। বাবা-ছেলে, পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা সবাই মিলে কোরবানিতে অংশ নিয়েছেন। কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।
এদিকে, সিলেট নগরীতে সন্ধ্যার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করার কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন জানিয়েছেন, কোন ধরনের বিপর্যয় বা অতি বৃষ্টি না হলে, সন্ধ্যার আরো আগেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে।
বর্জ্য অপসারণ শাখা জানায়, নগরীর বর্জ্য অপসারণের জন্য ৫৫টি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের কিছু বিশেষায়িত গাড়িসহ নিজস্ব যানবাহনও এ কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও ব্লিচিং পাউডারসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী, দা-কোদাল ধরনের যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রাখা হয়েছে।