দ্য সিলেট প্রতিবেদন |

সিলেটের নদীতীরবর্তী চার উপজেলায় এবার বন্যায় ম্লান ঈদের আনন্দ। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন উপজেলার ১৫ হাজার মানুষ। কেউ কেউ বাস করছেন আশ্রয়কেন্দ্রে আবার অনেকে নিজ বাড়িতে যুদ্ধ করছেন পানির সঙ্গে।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারার ৩টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের চার উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫ হাজার ৬০৭ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৪৩২ জন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। বন্যার্ত্যদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, বন্যাকবলিত ৪ উপজেলায় ৬৩ টন চাল, নগদ অর্থ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৯৪ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৭ জুন) বেলা ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জের আমলশীদ এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নেমে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে জকিগঞ্জ উপজেলার ২৫/৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, খলাছড়া ইউনিয়ন, সুলতানপুর ইউনিয়ন, বীরশ্রী ইউনিয়ন ও কাজলসার ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। পবিত্র ঈদুল আজহার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এমন ভয়াবহ বন্যায় চরম বিপাকে পড়তে হয় এসব এলাকার মানুষকে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে কিছু কিছু উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। প্রশাসন মানুষের পাশে আছে।