বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি | দ্য সিলেট টোয়েন্টিফোরডটকম

সিলেটের বিয়ানীবাজারে শেষ মুহূর্তে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে জমে উঠেছে স্থানীয় কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। এবারও বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি।
জানা গেছে এবার পৌরশহরের পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, মুরাদগঞ্জ বাজার, মুড়িয়ার ওয়াব আলী মার্কেট, লাউতার বারইগ্রাম, তিলপাড়ার দাসউরা ও আছিরগঞ্জ বাজার, মাথিউরার ভাটা বাজার, কুড়ার বাজারের বৈরাগীবাজার, দুবাগ বাজার, চারখাই, রামদা, দিঘিরপার বাজারে বসেছে কোরবানির পশুর হাট।
শেষ মুহূর্তে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার অন্যান্য পশুর হাটগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু, ছাগলসহ নানা পশু হাটগুলোতে বিক্রির জন্য তুলেছেন খামারিরা। ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে সরগরম পশুর হাট। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামীকাল থেকে ঈদের রাত পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা। এবারের ঈদে কোরবানীযোগ্য পশুর কোনো সংকট নেই বলে জানা গেছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মবিন হাই জানান, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৬৬টি কোরবানীযোগ্য পশু রয়েছে। এবার ১০ হাজার ৬০০ পশুর চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে কোরবানির পশুর বাজার স্থিতিশীল থাকে। পশু যাতে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিয়েও খামারিদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
বিয়ানীবাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড় আকৃতির গরু তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে। তবে সিংহভাগ ক্রেতাদের চাহিদায় আছে মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরু। বলতে গেলে লাখ টাকা দামের গরুর দিকেই ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ এবার। হাটগুলোতে এই ধরনের গরুর বিক্রির সংখ্যাই বেশি।
বিক্রেতারা জানান, আজ এবং আগামীকাল— এই দুই দিন সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। তারা বলছেন, ঈদের রাতের হাট প্রতিবারই লটারির রাত হিসেবে সবাই জানে, ওই রাতে হয় দাম বাড়বে, নয়তো কমবে।
ক্রেতাদের ভাষ্য, এখন পর্যন্ত ছোট-মাঝারি সাইজের গরুর দাম বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, এবার অন্যবারের তুলনায় গরুর দাম কম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, স্থায়ী ও অনুমোদিত হাট ছাড়া, রাস্তা, বিভিন্ন সড়কের মোড়, গ্রাম্যহাটে কেউ পশুর বিক্রির হাট বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান গতকাল বুধবার স্থানীয় পশুর হাট সরজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারদের সাথে কথা বলেন এবং সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।