দ্য সিলেট

রবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩২
রবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩২

সিলেটে নদ-নদীর পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলে বন্যার অবনতি

দ্য সিলেট প্রতিবেদন :

সংগৃহীত

সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এছাড়াও সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১৭ এবং কুশিয়ারা শেওলা পয়েন্টে পানি ৫ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে ব্যতিক্রম কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট। এই পয়েন্টে আরও ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

এদিকে নদ-নদীগুলোর পানি কমলেও উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যহত থাকায় সিলেটের বন্যাকবলিত জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য বলছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আর ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এসব উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ না থাকলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরেছে। একই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে হাওর ও নদ-নদীগুলো পানিতে টইটুম্বুর। এই অবস্থায় যদি আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর কয়েক স্থানে ডাইক ভাঙ্গার কারনে বন্যার প্রভাব দেখা দিয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বুধবার রাতে পাঞ্জেপুরি এলাকার একটি ডাইক ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। একই নদীর শেওলা ও দুবাগ এলাকায় নদীর বাঁধ উপচে পড়েছে এবং কাকরদিয়া এলাকায় একটি ডাইক ভেঙে যাওয়ায় সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের কাকরদিয়া, তেরাদল ও দুবাগ এলাকার অন্তত ছয়টি অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে এবং ভারী বৃষ্টি হলে বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ডাইকে একাধিক ভাঙন দেখা দেওয়ায় প্লাবিত হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলাসহ সিলেটের উত্তর পূর্বাঞ্চল। প্লাবিত হয়েছে সীমান্তের ২৫ থেকে ৩০টি গ্রাম।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রতিবেনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট ৪২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ১৬৫ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না জাানন, বন্যায় উপজেলার প্রায় ১৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এপর্যন্ত দুটি আশ্রয় কেন্দ্র মোট ৭ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল মাহমুদ ফুয়াদ জানান, বুধবারী বাজার ইউপির ১২ হাজার ৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। ৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ