দ্য সিলেট

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২
বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২

সুনামগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর

দ্য সিলেট প্রতিবেদন :

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অভিযোগে যুবলীগ নেতা ইছা মিয়াকে (৩৫) খুঁটিতে বেঁধে মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। মারধরের বেশ কয়েকটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। রোববার (২ জুন) উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইছা মিয়া সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধেরখলা গ্রামের রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার দিবাগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন রোববার সকালে চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন গ্রামবাসী। এ সময় তাকে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলে তিনি চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রামের ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ গণ্যমান্যরা মুচলেকা নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ঘিরে থাকা মানুষদের হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছেন, ‘আমার ঘরও মালটি আছে। মালটি আইন্যা দেই। আমারে একুট পানি খাওয়াও। তোমরা যা কও, আমি তা–ই রাজি। আমারে তোমরা আর মাইরো না, অত্যাচারটা কইরো না…।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইছা মিয়া এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে এমন অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামের রহিম মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় ইছা মিয়াকে ধরে এনে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। পরে তিনি স্বীকার করেন এবং কিছু মালামাল বের করে দেন। আমরা যাওয়ার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন তারা।’

তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, চুরির বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনী। কেউ থানায় অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ