দ্য সিলেট

শনিবার , ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ়, ১৪৩২

ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত বিয়ানীবাজারের কামারপাড়া

মিসবাহ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি :

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বেড়েছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। কোরবানির পশুর মাংস কাটার বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরিতে দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। যেন দম ফেলবারও ফুরসত নেই তাদের। দিন রাত টুং টাং শব্দ আসছে কামার দোকান থেকে। আর চার দিন পর মুসলমানদের অন্যতম র্ধমীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানীর পশু জবাই ও মাংস টুকরো করার জন্য দা ছুরি অপরিহার্য। আর এ দা ছুরি তৈরী করে কামারশিল্পীরা।

সারাবছর টুকটাক কাজ থাকলেও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বরাবরই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন। কামারের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে পশু জবাই এর বিভিন্ন উপকরণে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিয়ানীবাজার, বৈরাগিবাজার, দুবাগ, বাজার থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, চাবুক, বটি, ধামাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছে কামাররা।এসব ব্যবহার্য জিনিস স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বিয়ানীবাজার থেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে পাইকারী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো আগুনে পুড়ে দা, চাবুক,বটি, দামাসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরী করছে কামাররা। র্বতমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে এ শিল্পের দুর্দিন চললেও ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কামারপাড়া।

বিয়ানীবাজারের কামার শিল্পী পতন বাবু বলেন, এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রাদির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হারাচ্ছে। হয়ত বা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না।বৈরাগি বাজারের কামার আমাদের পুর্বপুরুষরা
এই কাজ করে আসছে সারা বছর তেমন কাজ হয় না কোরবানি আসলে আমাদের ভাল কাজহয় যাদিয়ে সারা বছর চলার জন্য কিছু আয় করে রাখি।

দুবাগ বাজারের এক কামার শিল্পী বলেন, এই পেশায় আমরা যারা আছি খুবই অবহেলিত। এই পেশায় সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। কোরবানির ঈদ আসলে কিছু টাকা আয় করতে পারি। সচেতন মহল মনে করেন কামারদের সরকার কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা দরকার তা না হলে হয়ত এ শিল্পী একদিন হারিয়ে যাবে।

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ