বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি |

ঢলের পানিতে সিলেটের বিয়ানীবাজারে বন্যার অবনতি হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মুড়িয়া, মাথিউরা, তিলপাড়া ও পৌরসভার কিছু অংশে বন্যা দেখা দিয়েছে। চলাচলের রাস্তা, হাটবাজার, ও বসতবাড়ি বন্যায় কবলিত হয়েছে।
সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়কের আঙ্গারজুর এলাকার উপর দিয়ে বইছে বানের পানি। বন্যা কবলিত বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না। তিনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে গত শনিবার কন্ট্রোল রুম স্থাপন এবং ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার বিকেল তিন টায় পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮৬ সেন্টিমিটার, শেওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বৈরাগীবাজারের সবজি ও মাছ বাজার প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এতো ভোগান্তি ও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঝুঁকির মূখে রয়েছে কুশিয়ারা নদীর গজুকাটা এলাকার ডাইক। বিজিবি সদস্যরা বালুবর্তী বস্তা ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ ডাইক মেরামত করেছেন। তবে নদীর পানি চাপে এ বাঁধ যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
এদিকে বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের একাধিক স্থানে পানি উঠেছে। কুশিয়ারা ও সুরমা তীরবর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৈরাগীবাজারের মূল এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ আছে। আমরা প্রকৃত বন্যার্ত পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবো।
ইতোমধ্যে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণের জন্য ৪৪ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১৪৫ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।