দ্য সিলেট

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২
বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমা ছাড়ানোয় বন্যার শঙ্কা

দ্য সিলেট প্রতিবেদন |

অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে- কানাইঘাট, আমলসীদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ। রোববার (১ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্যানুযায়ী রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শুণ্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। আর ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার শুণ্য দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এছাড়াও অন্যান্য নদনদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছিল।

এদিকে সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন এ মৌসুমে এটাই সিলেটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি ঝরছে ভারতের উজানেও। একদিনে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। এর প্রভাবে নদনদীতে পানি বাড়ছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব উপজেলার ইউএনওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারের জন্য নৌকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ রোববার সন্ধ্যায় দ্য সিলেটকে বলেন, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল নামায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আরও দুইদিন পানি বাড়বে। তবে ভয়ের কিছু নেই টানা বৃষ্টিপাতের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। দুদিন পর পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ