দ্য সিলেট প্রতিবেদন |

টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। রোববার (১ জুন) সুরমা নদীর পানি লুভাছড়া পয়েন্টে ১০৬ সেন্টিমিটার,
কানাইঘাট পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর পয়েন্ট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও মনু নদীর মৌলভীবাজার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আজ রোববার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য নদ-নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছিল।
এদিকে সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় মৌসুমের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। একদিনে ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেট কার্যালয়ে আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। যা গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গতকাল বিপৎসীমার ১৮৭ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। এছাড়াও সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে এ নদী শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
এদিকে ভারি বর্ষণে টিলা ধসে মাটিচাপা পড়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক পরিবারের চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ছে। এরই মধ্যে নগরীর উপশহর, শামীমাবাদ, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ও আশপাশের এলাকা, দক্ষিণ সুরমা, তালতলা, তপোবনসহ বেশ কয়েকটি এলাকা তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সব উপজেলার ইউএনওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যাকবিলতদের উদ্ধারের জন্য নৌকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।