দ্য সিলেট প্রতিবেদন |

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবন দেখা দিয়েছে। নদ-নদী ও হাওরে পানি ক্রমাগত বাড়ছে। ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার রাধানগর সড়কের কিছু অংশে পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এখনই বড় বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাঁধন কান্তি সরকার।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩০০ মিলিমিটার। আর গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৪১০ মিলিমিটার। পূর্বাভাস বলছে উজানে বৃষ্টি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। এতে পাহাড়ি ঢলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সারী গোয়াইন ও পিয়াইন নদীর তিন পয়েন্টের পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এছাড়া ডাউকি নদের পানি বৃদ্ধির কারণে জাফলং পর্যটনকেন্দ্র তলিয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাঁধন কান্তি সরকার বলেন, পানি বাড়বে। তবে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদে বন্যা হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখন হাওরে কোনো ধান নেই। ধান কাটা শেষ। তাই বন্যা হলেও ধানের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে সীমান্তবর্তী উঁচু এলাকায় সবজির চাষ করা হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও ঢলের পানিতে সেগুলোর ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
এদিকে, সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বাসিন্দাদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার গবাদিপশু নিয়েও রয়েছে ভোগান্তি। একই সঙ্গে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে এবং পানি বাড়ছে সবজি এবং আউশ ধানের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জাফলং পর্যটন স্পটের টুরিস্ট পুলিশের ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।