দ্য সিলেট

শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫, ৬ আষাঢ়, ১৪৩২

সিলেটে মাসুক হ’ত্যা মা ম লা য় ৪ সহোদরসহ আট আ’সা’মির ফাঁ‘সি

দ্য সিলেট প্রতিবেদন :

সংগৃহীত ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসী শেখ মাসুক মিয়া হত্যা মামলায় তাঁরই চার সহোদর ও ২ ভাবিসহ ৮ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এই আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত ৮ আসামির একজন পলাতক রয়েছেন।

ফাঁসির রায়প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলার ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের মৃত শেখ মদরিছ আলীর ছেলে ও নিহতের ভাই শেখ আলফু মিয়া (৪১), তার সহোদর শেখ পংকী মিয়া (৪৩), শেখ তোতা মিয়া (৫৭), শেখ আব্দুর রব ওরফে লেবু মিয়া (৬৩), পংকী মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, লেবু মিয়ার শেখ আনোয়ারা বেগম ওরফে এশাই (৪৮), একই এলাকার মৃত আখলাছ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন ওরফে অহর (৪৬) এবং উপজেলার গ্রামতলা দাসপাড়ার হাজি আলা উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ওরফে দিপু মিয়া (৪৩)। তাদের মধ্যে দিপু মিয়া পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন বিকাল ৩টার দিকে গোয়ালাবাজারে যান প্রবাস ফেরত মাসুক মিয়া। ওইদিন তিনি আর ফিরে আসেননি। পরদিন ১৪ জুন ধান ক্ষেত থেকে মাসুক মিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি মাসুক মিয়ার বলে সনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় তাঁর ভাই আলফু মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকালে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাই আলফু, পংকী ও তোতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জিজ্ঞসাবাদে তারা জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধরে জেরেই পরিকল্পিতভাবে দুই ভাবি ও ভাইয়েরা মিলে মাসুক মিয়াকে হত্যা করে। পরে থানার এসআই মমিনুল বাদি হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখান তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএম মাঈন উদ্দিন।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৮ মে আদালতে চার সহোদরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএম মাঈন উদ্দিন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার বিচারক চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ৮ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ