দ্য সিলেট ডেস্ক ||

ফাইল ছবি: এএফপি
গাজা উপত্যকায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উপত্যকার লাখো মানুষ অনাহারের মুখে, শিশুরা কাঁদছে ক্ষুধার যন্ত্রণায়, আর কিছু না হলে এই সংকট মৃত্যুতে পরিণত হবে। এই পরিস্থিতিতেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার (২০ মে) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পূর্ব জেরুজালেম প্রতিনিধি আন্তোয়ান রেনার্ড বলেন, ইসরায়েল কিছু সীমান্ত সাময়িকভাবে খুলে দিলেও তা ‘গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল’।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে সামান্য কয়েকটি ট্রাক গাজায় ঢুকতে পেরেছে। রেনার্ড জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে বিদ্যমান খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাই অব্যাহত রাখা দরকার; তা ভেঙে দিলে পুরো গাজার জনগোষ্ঠী অনাহারের মুখে পড়বে এবং আমরা তা ঠেকাতে পারবো না।
জাতিসংঘ আরও জানায়, কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে সেগুলো বিতরণ করা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ গাজার এক নার্স বিবিসিকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেন, আমরা তপ্ত রোদে তাঁবুর নিচে থাকি, পেটে কিছু নেই। আমার সন্তানরা ক্ষুধায় কাঁদছে। একজন মা হিসেবে আমি অসহায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৮ জন আহত হয়েছেন। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।