দ্য সিলেট ডেস্ক ||

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টাইগারদের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে হাল ধরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ১৮ বলে ৪০ রান করেন। ইনিংসের সপ্তম ওভার থেকে ১৮.২ ওভার পর্যন্ত হাল ধরেন জাকের আলি।
শেষ ১২ বলের ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে মাঝারি স্কোর উপহার দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন দুই তারকা পেস বোলার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
বুধবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ১০ রানে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ৩১ রানে ফেরেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্কোর বোর্ডে ২ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। দলীয় ৪৯ ও ৫৭ রানে ফেরেন শেখ মেহেদি হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম।
তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ইনিংসের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে যাওয়া তানজিদ বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র ১৮ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার আর চারটি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করেন।
মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ফেরেন শামীম হোসেন ও রিশাদ হোসেন। দলীয় ৮৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব।
ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে দলের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার ব্যাটার জাকের আলি অনিক। ক্রিজে নেমে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অনিক। কিন্তু নবম উইকেটে পেস বোলার হাসান আলি ছাড়া তাকে কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি।
নবম উইকেটে তারা ২৬ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৪ বলে এক চার আর ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জাকের আলি।
শেষ ব্যাটার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা শরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে ১২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন হাসান মাহমুদ। তার ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬২ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।