বালাগঞ্জ প্রতিনিধি

সিলেটের বালাগঞ্জে বাস চালকের সাথে তর্কবির্তকের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার আহত লয়লুছ মিয়া (৫০) মারা গেছেন। রোববার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত লয়লুস মিয়া বালাগঞ্জ ইউনিয়নের সিরিয়া গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তার স্বজনেরা প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
এতে একটি আধাপাকা ঘর, আসবাবপত্র, একটি খড়ের ঘর ও গবাদি পশু আগুণে পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানী নগর সার্কেল) আশরাফজ্জামান, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম, বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া, সিলেট জজকোর্টের এপিপি এডভোকেট রহমত আলী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১০ মে) বিকেলে সিলেট সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সিরিয়া গ্রামের কমিল উল্লার ছেলে সুমন মিয়া বালাগঞ্জগামী যাত্রীবাহী বাসকে থামানোর জন্য সিগনাল দেন। কিন্তু বাস না থেমে বড়ভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাট স্টান্ডে চলে আসে। কিছু সময় পরে সুমন মিয়া বাস স্ট্যান্ডে এসে বাস দাঁড় করে তিনিসহ যাত্রীদের না উঠানোর কারণ জানতে চান। এ নিয়ে সুমন ও বাস চালকের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নিহত লয়লুছ মিয়ার ভাই বাস স্ট্যান্ডের ম্যানেজার মানিক মিয়া চালকের পক্ষ নিয়ে সুমনের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে লয়লুছ মিয়াসহ ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহত লয়লুছ মিয়াকে প্রথমে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। খবর পেয়ে স্বজনরা প্রতিপক্ষ সুমন মিয়ার পক্ষের ইউনুস মিয়ার বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া জানান, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।